বিসিএস: সঠিক পথে হাঁটছেন তো?

প্রতিনিয়ত ক্যাডার সার্ভিসের প্রতি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর চাহিদা বাড়ছে। বিসিএস পরীক্ষার মত দীর্ঘ জার্নি শেষে সফলকাম হতে হলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। আসুন পরীক্ষাটিকে একটু ব্যবচ্ছেদ করি আর দুয়েকটা টেকনিক জেনে নেই।

🌟 বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ধাপ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রার্থী কমানো। এই পরীক্ষায় টিকে থাকতে আপনাকে ২০০ নম্বর পেতে হয় না। ১২০-১৪০ নম্বর পেলেই চলে। তবে এর অর্থ এটা নয় যে আপনি ৬০-৮০ টি ভুল করবেন। তাহলে নেগেটিভ মার্কিং এর পাল্লা ভারী হয়ে আপনার বিসিএস যাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

🎯 ভুল না দাগানোর অভ্যাস একদিনে গড়ে ওঠে না। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ ও নিয়মিত অনুশীলন। এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হলে প্রকৃত পরীক্ষার অনুরূপ পরীক্ষায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে। দিতে হবে মডেল টেস্ট। তবে সে টেস্ট দিতে হবে পরীক্ষার হলের মত পরিবেশ নিশ্চিত করে। মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় যতটা সম্ভব পরীক্ষার হল মনে করে সিরিয়াস হয়ে পরীক্ষায় বসতে হবে। তবে শুধু পরীক্ষা দিলেই হবে না নিজেকে মূল্যায়নও করতে হবে। কোথায় সময় বেশি লাগছে, কোন বিষয়ে উত্তর করতে পারছেন না সেগুলোও খেয়াল করতে হবে।

⏳ শেষ সময়ের প্রস্তুতির কথা ভুললে চলবে না। মডেল টেস্টের পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে লাইভ টেস্টগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এসব পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে থাকবেন।📝 আপনি কি সিলেবাসের সব বিষয়ে সমান পারদর্শী? চিন্তার কিছু নেই, কেউই তা হয় না।তাহলে কি সব বিষয়ে ভাল করতেই হবে? উপায় কি? বিসিএস উত্তীর্ণরা বলে আপনি যে বিষয়গুলোতে ভাল সেগুলো এত ভাল করেই পড়েন যেনো সেখান থেকে সব না পারলেও একটি ভুলও যেন না হয়। আর যেগুলোতে আপনি একেবারে কাঁচা সেগুলোতে একটু সময় দিন, বিষয়ের গভীরে যান, ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেন যেন ভুলের পরিমাণ কমে যায়।🌠 সর্বোপরি নিয়মিত পড়াশোনা ও নিজেকে যাচাই করার মধ্য দিয়ে অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে বিসিএসের পথ পাড়ি দিতে হবে। তাহলে শেষ হাসিটা আপনারই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to top